বিশেষ প্রতিবেদন :
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ ফিরোজ খানকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার পূর্ব লালানগর গ্রামের তাহের-মঞ্জুর কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ফিরোজ উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর কলাবাড়িয়া গ্রামের মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, ফিরোজের বিরুদ্ধে চারটি ডাকাতি মামলা ছিল। সম্প্রতি চট্টগ্রাম-৪ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সাবেক দুই এমপি– দিদারুল আলম ও এস এম আল মামুনের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, তাতে ফিরোজকেও আসামি করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
নিহতের স্বজন, পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় বড় দারোগারহাট বাজারে দুর্বৃত্তরা ফিরোজকে ধাওয়া করে। তিনি পালিয়ে রক্ষা পান। এর পর প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে একটি বাগানে লুকিয়ে ছিলেন।
নিহতের বড় ভাই আইয়ুব খান বলেন, ফিরোজ আমাদের ছোট বোনের বাড়িতে যাওয়ার সময় দুর্বৃত্তরা ধাওয়া করে। ভয়ে সে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে লুকিয়ে ছিল। রাত ২টার দিকে আবারও বোনের বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় আব্দুল হাকিমের বাড়ির সামনে থেকে কয়েকজন তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে তাহের-মঞ্জুর কলেজের সামনে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু ইমরান জানান, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম ফিরোজকে তাদের কাছে আনা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে, সেখানে মৃত্যু হয়।
বারৈয়ারঢালা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দিদারুল আলম মেম্বার বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আমরা এলাকাছাড়া। শুক্রবার রাতে ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
Leave a Reply