বিশেষ প্রতিবেদন :
দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এরই মধ্যে লেবাননে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় নিজেদের মনোবল ধরে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ইহুদিবাদী সেনাসদস্যদের। শুধু তাই নয় সেনা সংখ্যা ও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে উঠে আসছে নানা নেতিবাচক খবর, যার কোনো তোয়াক্কাই করছে না নেতানিয়াহু প্রশাসন। এমন পরিস্থিতি গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলকে ভয়াবহ হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় অভিযানরত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংরক্ষিত সেনারা ক্লান্তি ও অবসাদে ভুগছেন। এর মধ্যে লেবাননের সঙ্গে নতুন যুদ্ধ শুরু হওয়াটা তাদের হতাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। গেল বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার পর উপত্যকাটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। এখন পর্যন্ত এ যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য তলব করা হয় অন্তত ৩ লাখ রিজার্ভ সেনাসদস্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা যুদ্ধে অংশ নেওয়া রিজার্ভ সেনাদের ১৮ শতাংশের বয়স ৪০ বছরের ওপরে। যাদের মূলত সামরিক কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কথা। ইসরায়েলের ১৮ বছরের ওপর সকলের জন্যই সামরিক বাহিনীতে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক যদিও কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা যায়। এর মধ্যে লেবানন ফ্রন্টে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হওয়ায় অনেকেই নিজেদের ক্লান্তি ও হতাশার কথা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন।
কয়েক দিন আগে ইসরায়েলি রিজার্ভ ফোর্সের সদস্য এরিয়েল সেরি লেভি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করা এক পোস্টে জানান, সেনারা হতাশায় ডুবে যাচ্ছি। এই যুদ্ধ শেষ করা উচিত, কারণ সংরক্ষিত বিভাগের সদস্যরা কেউই নিয়মিত সেনাসদস্য নয়। তারা সবসময়ই ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখতে প্রস্তুত, কিন্তু এখন, এই মুহূর্তে তারা সত্যিই ক্লান্ত।
সম্প্রতি সংরক্ষিত সেনাদের থেকে বেশ কয়েকজনকে অব্যাহতি দিয়েছে আইডিএফ। তেমনই একজন সেনাসদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে জানান, তিনি খুবই ক্লান্ত ছিলেন। যুদ্ধের ভয়াবহতায় হাঁপিয়ে উঠছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই কাজে তার প্রভাব পরছিল। মূলত এ কারণেই তোকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অবশ্য ব্যতিক্রমীও রয়েছেন অনেক। ৫২ বছর বয়সী ডেভিড জেনৌ তাদের মধ্যেই একজন। ইসরায়েলি বাহিনীর সেনা হিসেবে ২৫০ দিন দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে ছুটিতে আছেন ডেভিড। কিছুদিনের মধ্যে লেবাননে যাওয়ার কথা রয়েছে তার।
Leave a Reply