1. abdullahharun2014@gmail.com : dailysarabela24 :
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১১ অপরাহ্ন
নোটিশ :
দৈনিক সারাবেলা ২৪ , সত্য সংবাদ প্রকাশে আপোষহীন visit . www.dailysarabela24.com অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল সংবাদ পড়ুন ও মন্তব্য করুন, আপনার প্রতিষ্ঠানের এড দিন , সংবাদ প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - ০১৯৭১-৮৪১৬৪২,০১৩২২-১৭৫০৫২
সংবাদ শিরোনাম:
ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নোটিশ জারি পাকিস্তানের সরকারি জমির মাটি খনন করছে বিএনপি-ছাত্রদল, ইউএনও’র সামনে অস্ত্রের মহড়া ঠিকাদারি লাইসেন্স: বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ ঝটিকা মিছিল বিরোধী অভিযান; ডিবির জালে ধরা আরো ১১ রাজধানীতে ডিবি কর্তৃক আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরো তিন নেতা গ্রেফতার জম্মু-কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৩৬ বিটিভিতে ফ্যাসিস্টের দোসর মাহবুবার ম্যাজিক – দুর্নীতির তদন্ত ধামাচাপা পাঁচ দফায় পদোন্নতি সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে বিএসএফ সদস্যের প্রবেশ, বিজিবির প্রতিবাদ ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী আরো দশজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সুরমা নদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় প্রসাধনী জব্দ

ঢাকা সিটি কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, অনিশ্চয়তায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৬ বার ভিউ

অনির্দিষ্টকালের জন্য সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষাজীবন বিঘ্নিত হচ্ছে ঢাকা সিটি কলেজের প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও হতাশায় পড়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, আগের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বেদার উদ্দিনকে জোর করে পদত্যাগ করিয়ে অবৈধভাবে পদ দখল করেন অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে ‘অবৈধভাবে’ নিজেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক ও ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ পদে মোখলেছুর রহমান নিয়োগ নিয়েছেন।
বিশেষ প্রতিবেদন :
বর্তমান অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিল শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে ১৮ দিন (শুক্রবার ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত)। শিগগিরই কলেজ খুলবে এমন কোনো নিশ্চয়তাও নেই।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলনের কারণে ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ মোখলেছুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। তবে অধ্যক্ষ নেয়ামুল এখনও পদত্যাগ করেনি।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৮ অক্টোবর পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের অপসারণ, বৈধ অধ্যক্ষকে ফিরিয়ে আনাসহ কয়েক দফা দাবিতে প্রতিষ্ঠানের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। গভর্নিং বডি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা। তবে তারা ক্লাসে ফেরেননি এবং পরীক্ষায়ও অংশ নেননি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস ও পরীক্ষাতে অংশ নেবে না বলে জানান।

এভাবে আন্দোলন ৪ নভেম্বর পর্যন্ত গড়ালে ঢাকা সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। নোটিশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধের কথা জানানো হয়।

নেপথ্যের ঘটনা

অভিযোগ উঠেছে, অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের পদ দখল করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নিয়ে আসেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক। অধ্যক্ষ মো. বেদার উদ্দিনকে জোর করে পদত্যাগপত্রে সই নিয়ে ওই দিনই সন্ধ্যায় (৭ আগস্ট) নেয়ামুল হক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব বুঝে নেন অধ্যাপক মো. নেয়ামুল হক। কলেজের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মোখলেছুর রহমানকে নিয়োগ দেন কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ারে বসেই নেয়ামুল হক নোটিশ জারি করেন পরদিন ৮ আগস্ট জরুরি সভা করার জন্য। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে অধ্যাপক কাজী নেয়ামুল হক গত ১১ আগস্ট অধ্যক্ষ এবং ‘কোনো কারণ ছাড়াই’ ছয় শিক্ষককে অফিস আদেশ দিয়ে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে ৮ আগস্ট ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ’ হওয়ার কারণ দেখিয়ে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের কাছে এক মাসের ছুটির আবেদন করেন অধ্যক্ষ বেদার উদ্দিন।

পরবর্তী পদক্ষেপ কী

জোর করে পদত্যাগ করানোর বিষয়ে মো. বেদার উদ্দিন হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের কারেন। এ ব্যাপারে মো. বেদার উদ্দিন বলেন, ‘আমি মনে করি আমার সঙ্গে যা হয়েছে তা অন্যায় হয়েছে। আমি ন্যায়বিচার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছি। আলহামদুলিল্লাহ, হাইকোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন। আমি আশা করছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অচিরেই কোর্টের রায় বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

সিটি কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নিং বডির সভাপতি ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘উচ্চ আদালনের আদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্টরা আইনগতভাবে বাস্তবায়ন করবেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে—শিক্ষার্থীদের দাবি, কলেজে রেগুলার অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে হবে। কিন্তু এই নিয়োগ দিতে তো সময় লাগবে। আমরা চেষ্টা করেছিলাম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার আগে কোনোভাবে একজন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ করার। কিন্তু তারা (শিক্ষার্থী) কোনোভাবেই মানছে না। নিয়োগ দেওয়া সময়সপেক্ষ ব্যাপার। এখন গভর্নিং বডি নিয়ে আমরা বসবো। দুই- একদিনের মধ্যে বসে সিদ্ধান্ত নেবো।

শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ, এখন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কী বলবেন– জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপাতত অনলাইনে ক্লাস নেওয়া যায় কিনা সে আলোচনা করবো।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©2024 ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com