বিশেষ প্রতিবেদন :
শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ১১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে নৌপরিবহন ও শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে।
গতকাল রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার বেক্সিমকো শিল্প পার্কের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে পারিপার্শ্বিক শিল্প স্থাপনা ও জনজীবনে সৃষ্ট অভিঘাত পর্যালোচনা করে কী করণীয়, সে বিষয়ে সুপারিশ করতে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অর্থ ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়–সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
এই কমিটিকে সহায়তা করবেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান, অর্থসচিব, বাণিজ্যসচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিজিএমইএর প্রশাসক।
বলা হয়েছে, বেক্সিমকো শিল্প পার্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক অসন্তোষ নিরসনে আশু, মধ্যমেয়াদি ও স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে সুপারিশ দেবে এই কমিটি। সেই সঙ্গে একই ধরনের প্রতিষ্ঠানে কাঙ্ক্ষিত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণে করণীয় নির্ধারণ করবে এই কমিটি। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
ঋণখেলাপি হওয়ায় রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কাঁচামাল আমদানি করতে পারছে না বেক্সিমকোর কোম্পানিগুলো। এতে কারখানাগুলোর উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বেতন দিতে না পারায় বেক্সিমকো গ্রুপের একাধিক কারখানায় অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুরও হয়। এরপর বেতন দিতে রাষ্ট্রমালিকানাধীন জনতা ব্যাংক ৫৫ কোটি টাকা ঋণ ছাড় করে। যদিও জনতা ব্যাংকে গ্রুপটির ২৩ হাজার ৫৫৭ কোটি টাকার ঋণের মধ্যে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা এখন খেলাপি।
এরপর চলতি মাসে শ্রমিকদের অক্টোবর মাসের বেতন পরিশোধে বেক্সিমকো গ্রুপকে ৬০ কোটি টাকার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
Leave a Reply