ডেস্ক রিপোর্ট :
জর্ডানে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত হয়েছেন। হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩৪ জন। সিরিয়া সীমান্তবর্তী জর্ডানের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হওয়া এই হামলায় ইরান জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে ইরান বলছে, জর্ডানে ড্রোন হামলা এবং মার্কিন সেনাদের হত্যার সাথে তাদের কোনও যোগসূত্র নেই। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা ইরনা’র বরাত দিয়ে সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব জর্ডানে তিন মার্কিন সেনা সদস্যকে হত্যা করা হামলায় তেহরান জড়িত ছিল না বলে জাতিসংঘে ইরানের মিশন সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আইআরএনএ-তে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইরানি এই মিশন আরও বলেছে: ‘ইরানের সঙ্গে এই হামলার কোনও সম্পর্ক নেই এবং মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্কও নেই।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে: ‘এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এতেই প্রতিশোধমূলক হামলা-পাল্টা হামলা হয়ে থাকে।’
রয়টার্স বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মার্কিন বাহিনীর ওপর মনুষ্যবিহীন বিমান ড্রোন হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে দোষারোপ করেছেন। গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে এটিই প্রথম প্রাণঘাতী হামলা এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শঙ্কার সৃষ্টি করেছে।
অবশ্য ড্রোন হামলায় ৩ মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার পর প্রতিশোধের হুংকার দিয়েছেন বাইডেন। মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, কোনও সন্দেহ নেই – আমরা এক সময়ে এবং আমাদের পছন্দের পদ্ধতিতে (হামলার জন্য) দায়ী সকলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনব।
বাইডেনের ভাষায়, ‘আমরা যে তিনজন আমেরিকান সেনা সদস্যকে হারিয়েছি তারা সর্বোচ্চ অর্থে দেশপ্রেমিক ছিলেন। এবং তাদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগ আমাদের জাতি কখনোই ভুলবে না… আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখব। এবং কোন সন্দেহ নেই – আমরা এক সময়ে এবং আমাদের পছন্দের পদ্ধতিতে (হামলার জন্য) দায়ী সকলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনব।’
Leave a Reply