1. abdullahharun2014@gmail.com : dailysarabela24 :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
দৈনিক সারাবেলা ২৪ , সত্য সংবাদ প্রকাশে আপোষহীন visit . www.dailysarabela24.com অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল সংবাদ পড়ুন ও মন্তব্য করুন, আপনার প্রতিষ্ঠানের এড দিন , সংবাদ প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - ০১৯৭১-৮৪১৬৪২,০১৩২২-১৭৫০৫২
সংবাদ শিরোনাম:
বিশ্বে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী-মসজিদের ইমাম একসঙ্গে পালিয়েছেন: দুদক চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ে বড় জমায়েত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বদলে গেলো যমুনা নদীতে নবনির্মিত রেলসেতুর নাম আরাকান আর্মির সঙ্গে আমরা দর কষাকষি করতে পারি না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও বড় বাজেট যুক্তরাষ্ট্রে ‘শাটডাউন’ ঠেকাতে শেষমেশ বিল পাস করল প্রতিনিধি পরিষদ অটোরিকশার সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে: ডিএমপি কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই বিশ্বব্যাংক থেকে ১১৬ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ

সিরিয়ায় নতুন করে গৃহযুদ্ধের নেপথ্যে কী?

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১০ বার ভিউ

বিশেষ প্রতিবেদন :
সিরিয়ায় নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) জানিয়েছে, বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখলের পর আরও অগ্রসর হয়েছে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে দেশটিতে নতুন করে আবার কেন গৃহযুদ্ধ শুরু হলো। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, এক সময় আল কায়েদার অংশ ছিল এইচটিএস নামক জঙ্গি সংগঠন। তারাই নতুন করে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছে।

হায়াত তাহিরির আল-শাম, সংক্ষেপে এইচটিএস। তুরস্কের মদতপুষ্ট এই সংগঠনই গত এক সপ্তাহ ধরে সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরও বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ইসলামি সংগঠন। তবে নেতৃত্ব দিচ্ছে এইচটিএস।

গত শুক্রবার তারা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো দখল করে নিয়েছে। আশপাশের একাধিক গ্রামও এখন তাদের দখলে। তাদের পরবর্তী লক্ষ্য হামা শহরটি দখলে নেওয়া।

সিরিয়ারযুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন নানার হাওয়াচ। কীভাবে গৃহযুদ্ধ শেষ করা যায়, তা নিয়েও কাজ করছেন তিনি। ডিডাব্লিউকে নানার জানিয়েছেন, রোববার হামা শহরে বাশার আসাদের সরকার বিরাট সেনা বাহিনী পাঠিয়েছে। এইচটিএস-কে তারা চাপ দিয়ে উত্তরের দিকে খানিকটা সরিয়ে দিতে পেরেছে। কিন্তু নানারের আশঙ্কা, এইচটিএস এতে থামবে না। আগামী কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে আবার গোটা সিরিয়াজুড়ে প্রবল গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করছেন এই গবেষক।

তার বক্তব্য, এইচটিএস-এর পেছনে যেহেতু তুরস্কের হাত আছে, তারা যথেষ্ট শক্তি নিয়েই আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।

এর আগেও হামা গৃহযুদ্ধের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছিল। ২০১১ সালে গণতন্ত্রপন্থি গোষ্ঠীগুলি সিরিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিল। প্রাথমিকভাবে তারা খানিকটা অগ্রসরও হতে পেরেছিল। কিন্তু ২০১৫ সালে হামায় আসাদ সরকার বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন করে। শুরু হয় প্রবল গৃহযুদ্ধ। আসাদ সরকার বিদ্রোহীদের দমন করতে সমর্থ হয়। সে সময় আসাদ সরকারকে সবরকমভাবে সাহায্য করেছিল ইরান এবং রাশিয়া। তারা এখনো আসাদ সরকারের বন্ধু।

একসময় আল কায়েদার অংশ ছিল এইচটিএস। পরবর্তীকালে তারা আলাদা হয়ে যায়। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই সংগঠনকে জঙ্গি সংগঠন বলে চিহ্নিত করে। সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চল বিশেষ করে ইদলিব এলাকা এখন এইচটিএস-এর দখলে। অন্তত ৪০ লাখ উদ্বাস্তু সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইদলিবে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এইচটিএস তাদেরও ব্যবহার করার চেষ্টা করছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।

তবে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে কেবল এইচটিএস লড়ছে না। তুরস্কের ছত্রছায়ায় থাকা সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা এসএনএ-এর একটি অংশও লড়াইয়ে নেমে পড়েছে। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কুর্দ অধ্যুষিত অঞ্চলে তারা আক্রমণ চালাচ্ছে।

তুরস্ক বরাবরই আসাদ সরকারের বিরোধী। সিরিয়ার সঙ্গে তাদের বিরাট সীমান্ত। তবে আসাদ সরকারের পাশাপাশি কুর্দ যোদ্ধাদেরও তুরস্ক জঙ্গি সংগঠন বলে মনে করে। এবং দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে তুরস্ক।

রাশিয়া বরাবরই আসাদ সরকারের বন্ধু। এই বন্ধুত্বের অন্যতম কারণ কৌশলগত সুবিধা। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়া কিছুটা সমস্যায় থাকলেও সিরিয়ার কৌশলগত অবস্থান তারা ছাড়বে না।

বস্তুত, সিরিয়ায় নতুন করে গৃহযুদ্ধের আবহ তৈরি হওয়ার পর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, সিরিয়া বরাবরই আমাদের সহযোগী। এক্ষেত্রেও আসাদ সরকারকে আমরা সবরকম সাহায্য করব। সিরিয়ায় স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।

ইরানের সরকারও আসাদ সরকারের সমর্থক। ‘অ্যাক্সিস অফ রেসিসটেন্স’এর অংশ আসাদ সরকার। এই গোষ্ঠী মনে করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল তাদের প্রধান শত্রু। এই গোষ্ঠীর অংশ ইরান, লেবাননসহ একাধিক দেশ এবং বেশ কিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠী যেমন হুতি।

সিরিয়ার কিছু গোষ্ঠী দাবি করেছে, সোমবার ইরান থেকে প্রায় ২০০ জন সশস্ত্র ব্যক্তি পিক আপ ট্রাকে করে সিরিয়ায় ঢুকেছে। আলেপ্পোর কাছে সিরিয়ার সেনাকে সহায়তা করবে তারা।

সব মিলিয়ে এক নতুন গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি সিরিয়া।

২০১১ সাল থেকে টানা গৃহযুদ্ধের কারণে কার্যত ধসে গেছে দেশের অর্থনীতি, সমাজ ব্যবস্থা। তার উপর আবার নতুন করে এই লড়াই আরও ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখে ঠেলে দেবে দেশটিকে

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©2024 ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com