বিশেষ প্রতিবেদন :
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে। এ ঘটনায় আমি ঢাকাসহ দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
সোমবার সকাল ১১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মিট দ্য প্রেসে তিনি একথা বলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা সাজ্জাত আলী বলেন, ডিএমপির ওই সময়ের অপেশাদার আচরণের কারণে বদলি ও দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর পুলিশ অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। বর্তমানে সেটি সক্রিয় করার কাজ চলছে। এছাড়া পুলিশ সক্রিয় না থাকলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতো। পুলিশকে আরও বেশি সক্রিয় করতে ডিএমপির প্রতিটা থানায় স্থানীয়দের নিয়ে আলোচনা সভা করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গত ১৫-১৬ বছর ধরে পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে তার বাপ-দাদা কোন দল করত সেটা খোঁজ নিয়েই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পুলিশবাহিনীতে ৮০ থেকে ৯০ হাজার সদস্য এভাবেই নিয়োগপ্রাপ্ত। সবাইকে তো আর চাকরিচ্যুত করা সম্ভব না। এটা মানবিক কারণেই সম্ভব না। তবে যারা অন্যায় করেছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
থানায় মামলা বাণিজ্য সম্পর্কে এক প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর প্রতিটি মামলা কোর্টের নির্দেশে হয়েছে। তারপরও মামলা বাণিজ্যের তথ্য পেয়েছি আমরা। যাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই আসামি করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবে না পুলিশ।’
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের বিষয় জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এখন পর্যন্ত ১২ শতাধিক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, আরও ৬৮৫টি অস্ত্রের খোঁজে অভিযান চলছে।
Leave a Reply