1. abdullahharun2014@gmail.com : dailysarabela24 :
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
দৈনিক সারাবেলা ২৪ , সত্য সংবাদ প্রকাশে আপোষহীন visit . www.dailysarabela24.com অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল সংবাদ পড়ুন ও মন্তব্য করুন, আপনার প্রতিষ্ঠানের এড দিন , সংবাদ প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - ০১৯৭১-৮৪১৬৪২,০১৩২২-১৭৫০৫২
সংবাদ শিরোনাম:
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীর ওপর ক্ষেপলেন হাজী সেলিম মাগুরা সদরে সেনাবাহিনীর অস্ত্র উদ্ধার অভিযান: অস্ত্রসহ আটক ০৯ জন বিনিয়োগ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর মনি হত্যাকাণ্ডের আসামি মাসুদকে গ্রেফতার করেছে মতিঝিল থানা পুলিশ নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য,অস্ত্রধারী ক্যাডার সোহেল আনসারীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি বান্দরবানে বিএনপির অফিস ভাঙচুর করেছে আওয়ামীলীগ দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গতকাল (০৭-০৪-২০২৫ খ্রি.) ৩টি অভিযোগের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয় আন্দোলন দমনে বুদ্ধিদীপ্ত পুলিশিং কৌশল প্রয়োগ করায় রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পেলেন ডিএমপির রিয়াদ বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা, আনন্দ শোভাযাত্রা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের বিবৃতি – গাজায় ইসরাইলের গণহত্যা-জবরদখল অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে

স্বাস্থ্য ব্যয় মেটাতে দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছে মানুষ

  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩০ বার ভিউ

বিশেষ প্রতিবেদন :
মাত্র ত্রিশ বছর বয়সী ইমা হাসপাতালের ৭ নম্বর বেডে কিডনি ডায়ালাইসিস নিচ্ছিলেন। ‘জাতীয় কিডনি রোগ ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউট’-এর ২য় তলায় কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগে কথা হয় ইমার সঙ্গে। তিনি জানান, দীর্ঘ আট বছর ধরে তিনি ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন। তিনি থাকেন তার বাবার বাড়ি ঢাকার গেন্ডারিয়ার ফরিদাবাগে।

ইমা জানান, বিয়ের পর সন্তান জন্ম দিতে সিজারিয়ান অপারেশনের দরকার পড়ে তার। সে সময় দুই বার অ্যানেসথেসিয়া দিতে হয়েছিল তার শরীরে। তা থেকেই তার কিডনি বিকল হয়ে যায়। এরপর কোলের নবজাতক মেয়েকে তিনি তুলে দেন শাশুড়ির কোলে, আর অসুস্থ বলে তার ঠাঁই হয় বাবার বাড়িতে। যদিও এই হাসপাতালে তিনি সপ্তাহে একবার ডায়ালাইসিস বিনা মূল্যে পান। আর এক বার ডায়ালাইসিসে ৫৬৩ টাকা লাগে। এছাড়া রক্তের ইনজেকশনের জন্যে লাগে ১৮০০ টাকা, ওষুধ লাগে সপ্তাহে ১ হাজার টাকার। আর প্রতিবার ডায়ালাইসিস করানোর আগে সিবিসি, ইকো, এক্সে—এই তিন পরীক্ষা করাতে লাগে দেড় হাজার টাকা। এছাড়া অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ তো আছেই। সব মিলে প্রতি মাসে তার ব্যয় হয় ৩০ হাজার টাকা। এই টাকা তার স্বামী (পাথর ব্যবসায়ী) ও চাচা বহন করে থাকেন। তিনি এইচএসসি পাশ করে আর পড়তে পারেননি, ফলে নিজে কিছুই রোজগার করতে পারছেন না।

এদিকে ইমার বাবারও ডায়ালাইসিস লাগে, ফলে তিনিও মেয়ের জন্যে তেমন কিছুই করতে পারেন না। ইমার মতো আরো আছে—২৪ বছর বয়সি রাজু মিয়া। ২০ বছর বয়সে তার কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সেই থেকে প্রতি সপ্তাহে তার দুবার ডায়ালাইসিস লাগে। রাজুর বাবা পেশায় একজন গাড়ি চালক। তিনি যা রোজগার করেন, তার পুরোটাই ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে ব্যয় করেন।

আরেক রোগী শারমিন মির্জা বলেন, ‘শীতকালে সপ্তাহে আমার তিন বার ডায়ালাইসিস দরকার হয়। আমাদের যদি তিনটা ডায়ালাইসিস বিনা মূল্যে করে দিত, তাহলে হয়তো আরো কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারতাম।’

দেশে এখনো নিশ্চিত হয়নি মানসম্মত সেবা। ১৯৯৭ সাল থেকে মোট স্বাস্থ্যব্যয়ে সরকারের ভাগ ক্রমান্বয়ে ছোট হচ্ছে। এতে হিমশিম খাচ্ছেন রোগীরা। ২০১২ সালে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট কৌশলপত্র তৈরির সময় ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ছিল ৬৪ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে যা ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে এটি না কমে বরং বেড়েছে।

অথচ সব মানুষের জন্য বিনা মূল্যে বা স্বল্পমূল্যে গুণগত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার মূলনীতি’। কিন্তু এ ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ (ইউএইচসি) অর্জনে দৃশ্যত অগ্রগতি নেই। ২০১৫ সালে ব্যক্তির চিকিৎসাব্যয় ৬৪ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ হয়। ২০২০ সালে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যক্তির স্বাস্থ্য খাতের মোট ব্যয় বর্তমানে ৭২ দশমিক ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে।

এ পরিস্থিতিতে আজ ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হচ্ছে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দিবস, ২০২৪। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য হয়েছে—‘স্বাস্থ্য :এটি পরিবারের নাকি সরকারের দায়িত্ব’।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে চিকিত্সাব্যয়ে সরকারের অংশ ছিল যথাক্রমে মোট ব্যয়ের ২৮, ২৬ ও ২৩ শতাংশ। আর ঐ বছরগুলোতে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ছিল ৬৪, ৬৬ ও ৬৯ শতাংশ। এ ব্যয় করতে গিয়ে বছরে ৮৬ লাখের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। চিকিৎসার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হচ্ছে ওষুধ কিনতে। এতে ব্যয় ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব ইত্তেফাককে বলেন, বাংলাদেশে যাদের পয়সা আছে তারা স্বাস্থ্যসেবা ভালোই পায়। যারা কম পয়সাওয়ালা, তাদের অনেকেই চিকিৎসা করাতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারণে দরিদ্র হয়ে যায়। আর যারা গরিব তাদের সন্তোষজনক চিকিৎসা পাওয়ার বন্দোবস্ত বাংলাদেশে নেই।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©2024 ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com