বিশেষ প্রতিবেদন :
মেহেরপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী মোনালিসার বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তিনি অনলাইনে টাকা দিয়ে পুরুষ কেনা, জুয়া ব্যবসা পরিচালনা, দুর্নীতি, এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোনালিসা মেহেরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে অনলাইন জুয়া পরিচালনা করতেন। এ জুয়া ব্যবসার মাধ্যমে তিনি প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা আয় করতেন। এমনকি পুলিশকে ব্যবহার করে তিনি এই কার্যক্রম চালাতেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মোনালিসার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তাঁর দেবর সরফরাজ হোসেন মৃদুল প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। তিনি জানান, মোনালিসা ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে শত কোটি টাকা অর্জন করেছেন। তাঁর কর্মকাণ্ডের কারণেই ফরহাদ হোসেনের পরিবারে অশান্তি নেমে আসে এবং ক্ষমতা হারানোর পরও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।
ফরহাদ হোসেন ও মোনালিসার নামে-বেনামে বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি, দুবাইয়ের শারজা এলাকায় সম্পদ, ঢাকার মোহাম্মদপুর, উত্তরা এবং বনানীতে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, এবং কিশোরগঞ্জ ও মেহেরপুরে জমি রয়েছে তাঁদের। এমপি হওয়ার আগে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত থাকা ফরহাদের এত বিপুল সম্পদ অর্জন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অভিযোগ রয়েছে, চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোনালিসা বেকার যুবকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি শুধু অর্থ উপার্জন করেননি, অনেক পরিবারকে পথে বসিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
মোনালিসার বিরুদ্ধে অনলাইনে টাকা দিয়ে পুরুষ কেনার অভিযোগও উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে সম্পর্ক তৈরি করতেন এবং ক্ষমতা প্রদর্শন করতেন।
ফরহাদ হোসেনের পরিবারও এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত বলে দাবি করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁর স্ত্রী, ভাই-বোনসহ পুরো পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসেছেন।
বর্তমানে ফরহাদ হোসেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলেও মোনালিসা এখনো আইনের আওতার বাইরে রয়েছেন। স্থানীয়দের মতে, এ বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
Leave a Reply