বিশেষ সংবাদ:
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (এস্টেট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এসএম মোস্তাইন হোসাইন বলেন, “দুই দফায় আমরা থানা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি। এর মধ্যে বর্তমান কর্ণফুলী, পতেঙ্গা, পাহাড়তলী, আকবর শাহ ও চান্দগাঁও থানাকে পুনর্বিন্যাস করে নতুন চারটি থানা করার প্রস্তাব প্রথমে দেওয়া হয়েছিল।
থানার সংখ্যা আর সীমানা দুটোই বাড়াতে চাইছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি); বর্তমানে নগরীর ১৬টি থানাকে বাড়িয়ে ২০টি করার পাশাপাশি জেলার ১২টি ইউনিয়নকে নিজেদের সীমানায় এনে আরও চারটি থানা করার প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
এর মধ্যে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ও চিকনদণ্ডী ইউনিয়ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থানা করার প্রস্তাব দিয়েছে সিএমপি কর্তৃপক্ষ। এ অংশটি এখন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বাইরে।
থানা ও সীমানা বাড়ানোর প্রস্তাব ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে সিএমপির অধীনে থানার সংখ্যা ১৬টি থেকে বেড়ে হবে ২৪টি।
“পরে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড ও পটিয়া থানার বিভিন্ন অংশ নিয়ে সিএমপির অধীনে নতুন আরও চারটি থানা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।”
দ্বিতীয় দফার প্রস্তাবে হাটহাজারী থানার আওতাধীন পাঁচটি ইউনিয়ন ও সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ড (দক্ষিণ পাহাড়তলী) নিয়ে মদুনাঘাট ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থানা গঠন করার কথা বলা হয়েছে।
হাটাহাজারি ১৩ নম্বর দক্ষিণ মাদার্শা, ১৪ নম্বর শিকারপুর ও ১৫ নম্বর বুড়িশ্চর ইউনিয়ন নিয়ে গঠন করা হবে মদুনাঘাট থানা। আর ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ থানা হবে সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড, হাটহাজারীর ১১ নম্বর ফতেপুর ও ১২ নম্বর চিকনদণ্ডী ইউনিয়ন নিয়ে। এ অংশটি এখন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বাইরে।
সীতাকুণ্ড থানার আওতাধীন উপজেলার ৮ নম্বর সোনাইছড়ি, ৯ নম্বর ভাটিয়ারি ও ১০ নম্বর সলিমপুর ইউনিয়ন নিয়ে ‘ফৌজদারহাট’ থানা এবং পটিয়া উপজেলার ৪ নম্বর কোলাগাঁও, ৫ নম্বর হাবিলাসদ্বীপ, ৬ নম্বর কুসুমপুরা ও ৭ নম্বর জিরি ইউনিয়ন নিয়ে নতুন ‘কালারপোল’ থানা হবে।
প্রথম দফায় বঙ্গবন্ধু টানেল পূর্ব ও পশ্চিম, কাট্টল এবং মোহরা নামে নতুন চারটি থানা করার প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানা যায় ২০২২ সালের জুলাইয়ে। সেসময় কর্ণফুলী উপজেলায় চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার (সিইউএফ) কারখানা সংলগ্ন ২৫ একরের বেশি জায়গা নিয়ে তৃতীয় পুলিশ লাইনস প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠায় সিএমপি।
এরপর দ্বিতীয় দফায় মদুনাঘাট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ফৌজদারহাট ও কালারপোল থানা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সিএমপি উপ-কমিশনার মোস্তাইন বলেন, জেলার কোনো অংশ সিএমপিতে অধিভুক্ত করতে বিভাগীয় কমিশনারের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। জেলার যেসব ইউনিয়নকে সিএমপির সঙ্গে অধিভুক্ত করা হবে, সেসব এলাকার জনপ্রতিনিধি, জেলা ও রেঞ্জ পুলিশের সাথে সমন্বয় সভা করে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সবার সম্মতি নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
১৯৭৮ সালে ২ হাজার ৪৮৬ জন জনবল এবং ছয়টি থানা নিয়ে শুরু হয় সিএমপির কার্যক্রম। ৪৫ বছরে সিএমপির থানা বেড়ে হয়েছে ১৬টি। পাশাপাশি জনবল বেড়ে হয়েছে ৭ হাজারের বেশি।
সিএমপির পরিসর আরও বাড়াতে নতুন করে দুই দফায় নতুন এই আটটি থানার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম দফার প্রস্তাব অনুযায়ী আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ও বড় উঠান ইউনিয়ন সম্পূর্ণ এবং বারাশাত ও রায়পুর ইউনিয়নের আংশিক নিয়ে গঠিত হবে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল পূর্ব’ থানা। এই এলাকাগুলো এখন কর্ণফুলী থানার অংশ।
আর নগরীর অংশে সিটি করপোরেশনের ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হবে ‘বঙ্গবন্ধু টানেল পশ্চিম’ থানা, যা এখন পতেঙ্গা থানার অন্তর্গত।
সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড, সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর লতিফপুর ও ৯ নম্বর জঙ্গল সলিমপুর ওয়ার্ড নিয়ে হবে ‘কাট্টলী’ থানা। এই এলাকাগুলো আগে সিএমপির পাহাড়তলি ও আকবর শাহ থানার অংশ ছিল।
সেইসঙ্গে সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে ‘মোহরা’ থানা করার প্রাথমিক প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এখন সিএমপির চান্দগাঁও থানার অ
Leave a Reply