বিশেষ প্রতিবেদন
চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার প্রকল্প কাজ শেষ হয়েছে। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে ওয়াসার পানি শোধনাগার প্রকল্পটি। এতে প্রতিদিন ৬ কোটি লিটার পানি সরবরাহের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চল ও চার উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের পানি সংকট নিরসনের আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী উপজেলার সীমান্তবর্তী ৪১ দশমিক দুই ছয় একর জায়গাজুড়ে স্থাপিত এই প্রকল্প থেকে ৪ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ১৩টি বাণিজ্যিক সংযোগে এবং ২ কোটি লিটার পানি চার উপজেলার আবাসিক গ্রাহকদের জন্য বরাদ্দ থাকবে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা জানান, প্রকল্পের কমিশনিং এবং বিতরণ লাইনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। দুটি রিজার্ভারের নির্মাণও শেষ হয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষা।
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘আমরা আনোয়ারা ও পটিয়ার শিল্পাঞ্চলে পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রাথমিকভাবে ৮০ শতাংশ বাণিজ্যিক এবং ২০ শতাংশ আবাসিকভাবে পানি সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে।’
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চট্টগ্রামের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মনজারে খোরশেদ আলম বলেন, ‘দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিল্পাঞ্চল এবং আবাসিক এলাকাগুলো এই প্রকল্প থেকে সরাসরি উপকৃত হবে। বিশেষত, শিল্পকারখানাগুলো পানির অভাবে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির যে সমস্যায় ভুগছিল, তা নিরসন হবে। ফলে উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়বে।’
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে একনেকে অনুমোদিত এ প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে জটিলতার কারণে প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়।
প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। তবে নির্মাণ দীর্ঘসূত্রিতায় ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকায়। এরমধ্যে ১ হাজার ১৫০ কোটি ৬৫ লাখ টাকা অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার, ৮২৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা দিয়েছে কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক এবং ২০ কোটি টাকা চট্টগ্রাম ওয়াসার নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply