বিশেষ প্রতিবেদন :
ওয়ানডে সিরিজটা আশা জাগিয়েও জেতা হয়নি। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভালো কিছু করে সে জ্বালা ভোলার প্রত্যয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। নিগার সুলতানা জ্যোতির ফিফটি আর দলের দারুণ ব্যাটিংয়ে কিছুটা আশাও জেগেছিল। তবে রেকর্ড গড়া ১৪৪ রান তুলেও শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশের। উইন্ডিজের কাছে ৮ উইকেটে হারতে হয়েছে সফরকারীদের।
টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্কোরটা আজ গড়েছিল বাংলাদেশ। ৩ উইকেট খুইয়ে করেছিল ১৪৪ রান। এই রানটা এসেছে নিগারের দারুণ ইনিংসের সুবাদে। ৪০ বলে তিনি করেন ৫৩ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশি কারো সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি ইনিংসও এটি। এর আগের সর্বোচ্চ ছিল ৩৯ রানের ইনিংস, সেটাও ছিল নিগারেরই।
নিগারের অষ্টম টি-টোয়েন্টি ফিফটির দিনে বাংলাদেশের অন্য ব্যাটাররাও মন্দ করেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান এসেছে শারমিন আক্তারের ব্যাট থেকে। তার সঙ্গে জুটি গড়েই নিগার বাংলাদেশকে দেন বড় পুঁজির দিশা। ৬২ বলে দুজনে যোগ করেন ৮২ রান। তাতেই বাংলাদেশ দেড়শ’ ছুঁইছুঁই স্কোর করে মাঠ ছাড়ে।
জবাবে উইন্ডিজ শুরু থেকেই চড়াও হয় বাংলাদেশের ওপর। কিয়ানা জোসেফ আর হেইলি ম্যাথিউসের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫১ বলে ৬৩ রান। এরপর ফাহিমা খাতুন পরপর দুই ওভারে কিয়ানা আর শেমেইন ক্যাম্পবেলকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে কিছুটা আশা দিয়েছিলেন।
তবে চারে ব্যাট করতে আসা ডিয়ান্ড্রা ডটিনের অবিশ্বাস্য ইনিংস বাংলাদেশের সব আশার আলো নিভিয়ে দেয়। তিনি ২২ বলে করেন ৫১ রান। ওপাশে হেইলিও করেন ফিফটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯ বল হাতে রেখেই জিতে যায় তাতে।
ডিয়ান্ড্রার এই ফিফটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। ২০০৯ সালে নিজের গড়া ২২ বলে ফিফটির রেকর্ড ভেঙে আজ ২১ বলে তিনি করেছেন ফিফটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর–
বাংলাদেশ– ২০ ওভারে ১৪৪/৩ (নিগার ৫৩*, শারমিন ৩৭, সোবহানা ২২; ফ্রেজার ১/২৩)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ– ১৬.৫ ওভারে ১৪৫/২ (ম্যাথুস ৬০*, ডটিন ৫১*, জোসেফ ২৯; ফাহিমা ২/১৫)।
ফল– ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা– ডিয়ান্ড্রা ডটিন।
Leave a Reply