বিশেষ প্রতিবেদন :
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জি.এম.এ.জি ওসমানী হল প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলে তিন হলের শিক্ষার্থীরা পকেট গেট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নেন এবং পরবর্তীতে ক্যাম্পাসের কলরব প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ করে মিছিলটি শেষ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল কর্তৃক ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিভিন্ন গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদল নিজেদের ফর্ম বিক্রির কার্যক্রম চালালে এর প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করতে চাইলে বহিরাগত ছাত্রদল সন্ত্রাসীরা ন্যাক্কারজনকভাবে নৃশংস হামলা চালায়।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুটেক্স শিক্ষার্থীরা দিনভর সরব ছিলেন। এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, বুটেক্সে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও কিছু প্রাক্তন শিক্ষার্থী বুটেক্সের ব্যানারে বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছে। এতে প্রশাসন কী ভূমিকা রাখছে, তা আমার জানা নেই।
বুটেক্স ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী তার পোস্টে লিখেছেন, রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ফেসবুক পেজ খুলে দলীয় প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাছাড়া, বুটেক্সে ছাত্রসংসদ গঠন নিয়ে প্রশাসনের এখনো কোনো অগ্রগতি নেই। কুয়েটের মতো বুটেক্সেও এ ধরনের ঘটনা ঘটার আগে ছাত্রসংসদ নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলরব প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশে এক শিক্ষার্থী আজিজ হলের নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, আজকের বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তাজনিত কারণে মিছিল সংক্ষিপ্ত করেছে, এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের কোনো প্রকার নিরাপত্তা সহযোগিতা করছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বরাত দিয়ে ওই শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষকরা আমাদের জানিয়েছেন, পলিটেকনিকের হল থেকে এখনো হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু এই তথ্য জানা সত্ত্বেও কেনো প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
উল্লেখ্য, বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, এই বুটেক্সে কোনো লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি চলবে না। ভোটের মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধি আসতে হবে এবং অনতিবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই আমরা।
Leave a Reply