1. abdullahharun2014@gmail.com : dailysarabela24 :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
দৈনিক সারাবেলা ২৪ , সত্য সংবাদ প্রকাশে আপোষহীন visit . www.dailysarabela24.com অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল সংবাদ পড়ুন ও মন্তব্য করুন, আপনার প্রতিষ্ঠানের এড দিন , সংবাদ প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - ০১৯৭১-৮৪১৬৪২,০১৩২২-১৭৫০৫২
সংবাদ শিরোনাম:
বিশ্বে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী-মসজিদের ইমাম একসঙ্গে পালিয়েছেন: দুদক চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ে বড় জমায়েত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বদলে গেলো যমুনা নদীতে নবনির্মিত রেলসেতুর নাম আরাকান আর্মির সঙ্গে আমরা দর কষাকষি করতে পারি না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও বড় বাজেট যুক্তরাষ্ট্রে ‘শাটডাউন’ ঠেকাতে শেষমেশ বিল পাস করল প্রতিনিধি পরিষদ অটোরিকশার সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে: ডিএমপি কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই বিশ্বব্যাংক থেকে ১১৬ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ

কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মির্জা ফখরুল,আমীর খসরু ও এ্যানি

  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৯৮ বার ভিউ

বিশেষ সংবাদ:
একদিনে কারামুক্ত হলেন মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি’র তিন নেতা ।
বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জামিনের কাগজপত্র ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে আসেন দলটির এই দুই শীর্ষ নেতা।

একইদিনে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি’র আরেক কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

সকাল থেকেই কেরাণীগঞ্জে কারাগারের সামনে ভিড় করছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। কারামুক্ত হওয়ার পর নেতাদের শুভেচ্ছা জানান তারা।

কারা ফটকে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশের জনগণ সবসময়ই গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে। অধিকার আদায়ের যে সংগ্রাম তারা শুরু করেছে তাতে জয় আসবেই।”

গত বছরের ২৮ই অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচির পরপর গ্রেফতার হয়ে সাড়ে তিন মাস বন্দি ছিলেন মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরু।

আর, এ্যানিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল অক্টোবরের ১০ তারিখে।

২৮ অক্টোবরের কর্মসূচি ও তার ধারাবাহিকতায় সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ১১টি মামলায় আসামি করা হয়। এসব মামলার মধ্যে ১০টিতে তিনি আগেই জামিন পেয়েছিলেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ১০ মামলার আসামি। এর মধ্যে নয়টিতে জামিনপ্রাপ্ত ছিলেন।

সর্বশেষ প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বুধবার আদালত তাদের দু’জনের জামিন মঞ্জুর করেন।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দাবিতে ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশ করেছিল বিএনপি।

ওই সমাবেশের পর সংঘর্ষের বিভিন্ন ঘটনায় পর দিনই ২৮টি মামলা হয়।

এসব মামলায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় বেশির ভাগ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। একেকজনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, পুলিশ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়া, হাসপাতালে আগুনসহ নানা অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

এছাড়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, শাহজাহান ওমর, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মাহবুব উদ্দিন খোকন-সহ শীর্ষস্থানীয় সব নেতার বিরুদ্ধেই ২৮শে অক্টোবরের ঘটনায় নাশকতার মামলা হয়।

ঢাকার পল্টনে গত ২৮শে অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা নয়টি মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিএমএম আদালতে জামিন পান গত ১০ জানুয়ারি ।

তবে, তখনই তার মুক্তি মিলবে না বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।

কারণ হিসেবে জানান, ওইদিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানার আরেকটি মামলায় তাকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

এ মামলায় এর আগে বিচারিক আদালত জামিন না দিলে হাইকোর্টে জামিন চাওয়া হয়।

হাইকোর্ট ও বিচারিক আদালতে এর আগে অন্তত পাঁচবার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয় বিএনপি মহাসচিবের।

গত ২৯ শে অক্টোবর তাকে গ্রেফতারের পর দিন পল্টন থানার একটি মামলায় ঢাকার সিএমএম মেট্রোপলিটন সেশন জজ আদালত এবং হাইকোর্টে তিন দফায় জামিন আবেদন খারিজ হয়।

ওই সময়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর, নাশকতা ও পুলিশ হত্যার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় মোট ১১টি মামলা হয়।

বিএনপি নেতাদের আইনজীবীরা তখন অভিযোগ করে বলেছিলেন, “১১টি মামলা করলেও গ্রেফতারের সময় মির্জা ফখরুলকে মাত্র একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। যাতে আদালত থেকে জামিন পেলে আবার আরেক মামলায় গ্রেফতার দেখানো যায়।”

সরকার তাকে দীর্ঘমেয়াদী কারাগারে রাখার জন্য এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেন আইনজীবীরা।

১০ জানুয়ারি দুপুরে সিএমএম আদালতে পল্টন ও রমনা থানার নয়টি মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলামের জামিন আবেদনের শুনানি হয়।

প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এ শুনানিতে তার আইনজীবী আসাদুজ্জামান নয়টি মামলার এজাহার ধরে বিশ্লেষণ করেন।

তিনি বলেন, “আইনানুযায়ী বয়স ও অসুস্থ বিবেচনায় তার জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।”

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে যত মামলা
নাশকতা, পুলিশ-হত্যা ও প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা ও পল্টন থানায় দশটি মামলা হয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

“সরকার বিচারিক প্রক্রিয়াকে দীর্ঘায়িত করতে একেকজনের বিরুদ্ধে অনেক মামলা থাকলেও গ্রেফতারের সময় আদালতে মাত্র একটি মামলায় হাজির করে”, এটি ছিল বিচারিক কার্যক্রম চলাকালীন তার আইনজীবী সগির হোসেন লিওনের অভিযোগ।

“যাতে জামিনের আবেদন একটিতে হয়। ফলে বাকি সব মামলায় জামিনের জন্য হাইকোর্টে আবার রিট করে বিচারিক আদালতকে নির্দেশনা নিতে হয়েছে বেশিরভাগ বিএনপি নেতার মামলায়”, বলছিলেন মি. লিওন ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©2024 ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com