1. abdullahharun2014@gmail.com : dailysarabela24 :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
দৈনিক সারাবেলা ২৪ , সত্য সংবাদ প্রকাশে আপোষহীন visit . www.dailysarabela24.com অনলাইন ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল সংবাদ পড়ুন ও মন্তব্য করুন, আপনার প্রতিষ্ঠানের এড দিন , সংবাদ প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করুন - ০১৯৭১-৮৪১৬৪২,০১৩২২-১৭৫০৫২
সংবাদ শিরোনাম:
বিশ্বে এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী-মসজিদের ইমাম একসঙ্গে পালিয়েছেন: দুদক চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ে বড় জমায়েত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বদলে গেলো যমুনা নদীতে নবনির্মিত রেলসেতুর নাম আরাকান আর্মির সঙ্গে আমরা দর কষাকষি করতে পারি না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেও বড় বাজেট যুক্তরাষ্ট্রে ‘শাটডাউন’ ঠেকাতে শেষমেশ বিল পাস করল প্রতিনিধি পরিষদ অটোরিকশার সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে, নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে: ডিএমপি কমিশনার উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই বিশ্বব্যাংক থেকে ১১৬ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ

মংডু শহরে বিদ্রোহী ও আরাকান আর্মির হামলা জোরদার

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৯৫ বার ভিউ

বিশেষ সংবাদ:

দুই সপ্তাহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘাতের আঁচে বাংলাদেশ সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ অস্থির। ফাইল ছবি
দুই সপ্তাহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘাতের আঁচে বাংলাদেশ সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ অস্থির। ফাইল ছবি
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সীমান্তচৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চলমান সংঘাত এখন মংডুর দিকে ছড়িয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত থেমে থেমে গুলি, মর্টারশেলসহ ভারী অস্ত্রের বিকল বিস্ফোরণ শোনা গেছে। দু-তিনটি শব্দের সঙ্গে কম্পন টের পেয়েছেন এপারের বাসিন্দারা।

দুই সপ্তাহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরের সংঘাতের আঁচে বাংলাদেশ সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ অস্থির। টানা কয়েকদিন সংঘাতের পর চারদিন ধরে নাইক্ষ্যংছড়ি ও উখিয়া সীমান্ত পরিস্থিতি এখন অনেকটা শান্ত। তারপরও সীমান্তঘেঁষা খেতখামারে যেতে ভয় পাচ্ছেন চাষি ও কৃষকরা।

দুদিন ধরে টেকনাফের পূর্ব ও দক্ষিণাংশের ওপারে রাখাইনের মংন্ডুতে তুমুল সংঘর্ষ চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কয়েকটি সীমান্তচৌকি রয়েছে। এসব চৌকির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মির সঙ্গে লড়াই চলছে। এতে এপারের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপে দুই-তিন ধরে গুলি ও ভারী অস্ত্রের শব্দ পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন। মাঝেমধ্যে বিকট শব্দও কানে আসছে। সকালে প্রায় এক ঘণ্টা তীব্র গোলাগুলিতে এপারের মানুষের ঘুম ভাঙে। ওপারের মংডু এলাকায় আজ সকালে আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা গেছে। এরপর দুটি বিকট শব্দে কেঁপে উঠে সীমান্ত এলাকা। কোনো কোনো এলাকায় অগ্নিসংযোগও হচ্ছে।

নাফ নদীর পূর্ব ও দক্ষিণাংশে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। রাখাইনের মংডুর শহরের আশপাশের মেগিচং, কাদিরবিল, নুরুল্লাহপাড়া, মাংগালা ও ফাদংচা এলাকা অবস্থিত।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ৯ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব এলাকার সীমান্তচৌকি ঘিরে সংঘর্ষ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে দুটি বিকট শব্দে এপারের মাটি কেঁপে উঠে। এ অবস্থায় সীমান্তের নারী-শিশুরা আতঙ্কে রয়েছেন।’

সেন্ট মার্টিনের উত্তর পাড়ার বাসিন্দা আবদুল করিম ও জসিম উদ্দিন বলেন, বুধবার থেকে সেন্টমার্টিনে গেলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কয়েকটি বিকট শব্দ হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানোর হয়েছে। সীমান্তের লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এবিষয়ে ২ বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহি উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের জেরে থেমে থেমে রাতভর গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন সীমান্তে থাকা বিজিবির সদস্যরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে তমব্রু রাইট ও লেফট ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। দুই-তিনদিন তীব্র লড়াইয়ের পর তমব্রু ও ঢেঁকিবনিয়া সীমান্তচৌকি দখলে নেয় আরাকান আর্মি। সেখানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে ঠিকতে না পেরে ৩৩০ জন বিজিপি, সেনা ও বেসামরিক নাগরিক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাদের গতকাল বৃহস্পতিবার সাগরপথে মিয়ানমারে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরের ওপর মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী এবং অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ। এছাড়া গোলাগুলিতে আহত হন আরও ৯ জন। অনেকেই এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ©2024 ওয়েবসাইট এর কোনো লেখা, ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ThemeNeed.com