বিশেষ প্রতিবেদন :
হারের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। ২৩৬ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে শতরানের আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। শেষ দশ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫৯ রান। হাতে ছিল ৪ উইকেট। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চোখ রাঙাচ্ছিল বড় হার।
শঙ্কা বাড়িয়ে দ্রুতই ফিরে যান জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা এবং রাবেয়া খান। কিন্তু রিতু মণি তো ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে আছেন দারুণ ছন্দে। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে রিতুই শেষ পর্যন্ত দলকে টেনে দিলেন জয় পর্যন্ত।
নবম উইকেটে তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন দলের সহ-অধিনায়ক নাহিদা আক্তার। দুজনের জুটি ৫৪ রান। বল খেলেছেন মোটে ৩৪টি। তাতে আবার রিতু রান তুলেছেন ২০০ স্ট্রাইক রেটে। আর সেই জুটিটা গড়েছে বিশ্বরেকর্ডও। রানতাড়ায় নেমে নবম উইকেটে ৫০ এর বেশি রান তুলে ম্যাচ জেতানোর একমাত্র কৃতিত্ব এই দুজনের।
এর আগে রান তাড়ার সময়ে নবম উইকেটে ৫০ রানের বেশি রান তুললেও তাদের কেউই ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। পাকিস্তানের নিদা দার এবং দিয়ানা বেগের ৬০ রানের জুটি সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিল। তবে তাদের হারতে হয়েছিল ৩ রানের ব্যবধানে।
শুধু এখানেই থামছে না দুজনের কীর্তি। নবম উইকেটে একমাত্র জুটি হিসেবে ৯ এর বেশি রানরেটে পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি করেছেন রিতু মণি এবং নাহিদা আক্তার। দুজনের এই দুই বিশ্বরেকর্ডের কীর্তিটা অবশ্য আড়ালেই রয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশ এবং এশিয়ান ক্রিকেটের সাপেক্ষেও রেকর্ড গড়েছেন এই দুই ব্যাটার। এশিয়ান নারী দলগুলোর মধ্যে নবম উইকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি রিতু এবং নাহিদার ৫৪ রান। শীর্ষে আছে রাধা ইয়াদাভ এবং সায়মা ঠাকুরের ৭০ রানের জুটি।
এছাড়া বাংলাদেশের জন্য নবম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটিও নিজেদের করে নিয়েছেন রিতু মণি এবং নাহিদা আক্তার। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে ওয়ানডেতে নিজেদের সবচেয়ে বড় রান তাড়ার জয়।
Leave a Reply