সরেজমিন প্রতিবেদন :
সারাদেশে উৎসব ও আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপন হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বিভিন্ন আয়োজন করেছে দেশের জেলাগুলো। সরকারি পৃষ্ঠপোশকতায় আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন হয়েছে সব জায়গায়। বিগত বছরের জরাকে দূরে ঠেলে নতুন আলোয় আনন্দে মেতে উঠেছে দেশের মানুষ। ঘরে ঘরে আজ উৎসবের আমেজ।
যশোর
সুরের মুর্ছনায়, ঢাক-ঢোলের তালে যশোরে বরণ করে নেয়া হল বাংলা নববর্ষকে। শহরজুড়ে বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মেলা।
সকাল ছয়টায় পৌর পার্কে উদীচীর আয়োজনে শুরু হয় বর্ষবরণ উৎসব। পরে বের হয় শোভাযাত্রা। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে টাউন হল ময়দানে শেষ হয়। ১৯৮৬ সালে যশোরে প্রথমবারের মতো বের করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা।
মৌলভীবাজার
গানে গানে মৌলভীবাজারে বরণ করে নেয়া হয় নতুন বছরকে। এসময় উদিচীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের গান ও আবৃত্তি পরিবেশন করে।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর সার্কিট হাউস থেকে বের হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও মুখর ছিলো বর্ষবরণের আয়োজনে। সেখানে ডিসি মঞ্চে আয়োজন হয়েছে তিন দিনের বৈশাখী মেলার।
জয়পুরহাট
জয়পুরহাটেও আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেয় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান রাস্তা ঘুরে সার্কিট হাউস মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
নাটোর
নাটোরে সকাল সাড়ে সাতটায় মহারাজা জগদীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বের হওয়া আনন্দ শোভাযাত্রা রাজবাড়ীতে গিয়ে শেষ হয়। এরপর আয়োজন হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
মেহেরপুর
মেহেরপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ গানের মধ্যে দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করেছে। আনন্দ শোভাযাত্রা পর শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দুদিনের বৈশাখী মেলার উদ্বোধন হয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
দিন ব্যাপি সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন গ্রামীন খেলার মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে বরন করে নেয় চাঁপাই নবাবগঞ্জবাসী।
সকাল আটটায় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হয় গ্রাম বাংলার বিভিন্ন ঐতিহ্য।
রাজবাড়ী
রাজবাড়ীতে জেলা প্রশাসন ছাড়াও জেলা বিএনপি, বর্ষবরণ উদযাপন কমিটিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রায় হাতি, ঘোড়ার গাড়ি, পালকিসহ বিভিন্ন কারুকার্য তুলে ধরা হয়।
গোপালগঞ্জ
গোপালগঞ্জে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে পৌর পার্কে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা।
নরসিংদী
ঢাক ঢোলসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের মাধ্যমে নরসিংদীবাসী মেতে উঠেছে উৎসব আর আনন্দ আয়োজনে। সকালে আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।
কক্সবাজার
কক্সবাজারে উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। পর্যটন শহরকে এক টুকরো গ্রামে পরিণত করেছে আযোজকরা।
সামনে বিশাল সমুদ্র জলরাশি। বালিয়াড়ীর চেয়ারে বসে ইলিশ, ডাল, ভর্তা মরিচভাজা আর পান্তা ভাতের স্বাদ গ্রহন, সেকি এক অনুভূতি বাঙালিপনার।
কক্সবাজার সমুদ্র পাড়ে এমন আয়োজন প্রথম ধরা দেয় ক্যামেরায়।
ক্যামেরা লেন্স আটকে যায়, সৈকতের লাবণীয় পয়েন্টে ব্যতিক্রমী বাঙালির উৎসব। উন্মুক্তমঞ্চে সবুজ সহজ সরল মেঠো গ্রামের ঐতিহ্যে নাচ গান। সৈকত জুড়ে গ্রামের তরুণ তরণী আর গৃহবধুর বেশে নানা পোষাকে আচ্ছাদিত মানুষের পদচারণা। যেন শেঁকড়ে কাছে আশ্রয় নিয়েছে সবাই।
পর্যটক এই অট্টালিকার শহর গ্রামে রূপান্তরে খুশি অনেক।
শিল্পী ও আয়োজকরা বললেন, বাংলা অক্সিজেন গ্রাম। এই সংস্কৃতিকে জীবিত রাখতে হবে চিরকাল।
পিরোজপুর
পিরোজপুরে বর্ণিল আয়োজনে একশো এক ধরনের দেশীয় ফল-পিঠা দিয়ে বর্ষবরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে পিরোজপুর শহরের গোপালকৃষ্ণ ডাউন ক্লাব মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বন্ধু ফোরাম এর আয়োজনে এ উৎসব উদযাপন করা হয় বর্ষবরণে বাঙালি আপ্যায়ন নামে।
ব্যতিক্রমি এ আয়োজনে শিশু-কিশোর সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়। বর্ণিল এ বর্ষবরণে বাঙালি আপ্যায়ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে লাল, সবুজ, কমলা ও হলুদসহ নানা রঙের পোশাকে সেজেছেন সবাই। পুরুষেরা পাঞ্জাবি, নারীরা শাড়ি মাথায় ফুলের মালা, হাতে রঙিন চুড়ি এবং শিশুদের মুখে উচ্ছ্বাস-সব মিলিয়ে ছিল প্রাণবন্ত পরিবেশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, পিরোজপুরের গোপালকৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠ প্রাঙ্গণ ছিল উৎসবের রঙে রাঙানো। দুধকুলি, ক্ষীরকুলি, তিলকুলি, পাটিসাপটা, ফুলঝুড়ি, ধুপি পিঠা, নকশি পিঠা, মালাই পিঠা, মালপোয়া, পাকন পিঠা, ঝাল পিঠাসহ ২৫ ধরনের পিঠা, কয়েক জাতের কলা, আনারস, পেপে, পেচি গাব, ডুমুর ফল, কাঠাল, চালতা, আতা, সফেদা, বেতফল, টকফলসহ ৪৫ ধরনের ফল, চমচম, রসগোল্লা, রসমালাই, কালজামসহ ২০ ধরনের মিষ্টি, বেলের রস, তালের রস, খেজুরের রস সহ ১১ ধরনের শরবতের পসেরা সাজিয়ে বসেছে আয়োজকরা। অতিথিরা হাতে মাটির বাসন নিয়ে তাদের পছন্দ সই খাবার বেছে নিচ্ছেন এবং নির্দিষ্ট আসনে বসে এসব ফল পিঠা মিষ্টান্ন খাচ্ছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বন্ধু ফোরামের আহ্বায়ক এস এম ছাইদুল ইসলাম কিসমত বলেন, আমরা জাতীয়তাবাদী বন্ধু ফোরামের সদস্যরা একটি ভিন্ন আঙ্গিকে এবছর বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছি। আমরা আপামর বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য ১০১ ধরনের বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার অতিথিদের আপ্যায়নের মাধ্যমে এ উৎসব উদযাপন করেছি। প্রতিবছর আমরা এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করতে চাই আগামীতে আমরা আরো ব্যতিক্রমী আয়োজন করতে পারব বলে প্রত্যাশা করি।
শেরপুর
শেরপুরে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বন্যাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিন শেষে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় বাঙ্গালির ইতিহাস ঐতিহ্যর বিভিন্ন মোটিভ, আদিবাসীদের নৃত্য, গরুর গাড়ী, পালকিসহ বিভিন্ন পাখি ও পশুর মুখ অবয়ব স্থান পায়।
পরে সেখানে সাংস্কৃতিক আয়োজন ও তিনব্যাপী লোকজ মেলার স্টল ঘুরে দেখেন শোভাযাত্রায় অংশগ্রহনকারীরা।
এসময় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা কৃষি বিভাগ, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, শেরপুর প্রেসক্লাব, উদিচীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
হবিগঞ্জ
সকালে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে জাতীয় সঙ্গীত ও এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে শহরে সার্বজনীন আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে লাঠি খেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এছাড়া হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পান্তা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিএনপি নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব জিকে গউছসহ বিভিন্ন স্থরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এর বাইরেও শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হয়।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে বাংলা নববর্ষকে বরণে বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে জেলা বিএনপি। এ শোভাযাত্রায় জেলা বিএনপি, সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও মহিলাদলের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে শহরের ইবি রোডস্থ বিএনপির কার্যালয় থেকে জেলা বিএনপির আয়োজনে ঘোড়ার গাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামীণ ঐতিহ্যে সজ্জিত হয়ে নিয়ে একটি বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বাজার স্টেশনে এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মুন্সী জাহিদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান প্রমুখ।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দিনব্যাপি নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হচ্ছে নববর্ষ।
ঝিনাইদহ
বাংলার নতুন বছরের প্রথম দিনে ঝিনাইদহের উজির আলী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা। সোমবার সকালে উৎসবমূখর পরিবেশে লাঠিয়ালদের খেলা উপভোগ করেন দর্শক ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
আর মানুষের আনন্দ দিতে পেরে খুশি লাঠিয়ালরা।
আর আযোজক বিএনপির নেতারা জানান, হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এ লাঠি খেলা পাশাপাশি বিএনপি লাঠিয়ালদের পৃষ্টপোষকতা করে টিকিয়ে রাখবে এ ঐতিহ্য।
আর আয়োজকদের পক্ষ থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি জানান, ঐতিহ্যবাহি লাঠি খেলাসহ সকল গ্রামীন খেলা হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে ও ফিরিয়ে আনতে জেলা বিএনপি লাঠি খেলার আয়োজন করেছে।
বিএনপি আগামী দিনে রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে পৃষ্টপোষকতাসহ এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হবে। সট-১ এম,এ মজিদ, সভাপতি, জেলা বিএনপি, ঝিনাইদহ।
মৌলভীবাজার
নতুন মাস ও নতুন বছরের শুভ সূচনায় মৌলভীবাজারে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী থেকে বাংলা নববর্ষের ‘আনন্দ শুভাযাত্রা’ র্যালী বের হয়ে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘আনন্দ শুভাযাত্রা’ র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো: ইসরাইল হোসেন, পুলিশ সুপার এম,কে,এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংস্কৃতি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে স্কুল মাঠে শিল্পকলা একাডেমী, জাসাস, মৌসাস এর শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান ও নৃত্য পরিবেশন করে।
নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর
সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বর্ষ বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য সাজে বর্ষ বরণ আনন্দ শোভাযাত্রা উপজেলার সদরের মুল সড়ক প্রদক্ষিন করে। শোভাযাত্রায় সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ গ্রহন করে। শোভা যাত্রা শেষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা শেষে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এ ছাড়াও উপজেলা বিএনপির আয়োজনে পৃথক ভাবে বর্ষ বরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ও পহেলা বৈশাখ। দিনটি পালনে সোমবার সকালে শহরের পৌর মুক্ত মঞ্চ থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নান শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় ফারুকী পার্ক চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানের দিনব্যাপী আনুষ্ঠানিকতা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ দিদারুল আলম। এ সময় পুলিশ সুপার মোঃ এহতেশামুল হক, অতিরক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ নোমান মিয়াসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে লাঠি খেলা, সাপ খেলা, নাগরদোলা, মোরগ লড়াই, লোকজ মেলাসহ বাঙালী সংস্কৃতির নানা আয়োজন ছিলো। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সী, নারী, পুরুষ ও শিশুরা অনুষ্ঠান স্থলে সমবেত হন।
ঈশ্বরদী, পাবনা
পাবনার ঈশ্বরদীতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা, লোকজ মেলা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, পান্তা ভোজনসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়েছে।
সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পৌরসভার সহযোগিতায় উপজেলা চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ শেষে ডাকবাংলা চত্বরে শেষ হয়। পরে সেখানে পান্তা ভোজন শেষে দিনব্যাপী লোকজ মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে বরণ করা হয় বাংলা বছরের প্রথম দিন। এতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপি নেতা মকলেছুর রহমান বাবলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ, সহকারি কমিশনার ভূমি শাহাদাত হোসেন খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা
বর্ণিল শোভাযাত্রা ও নানান আনন্দ আয়োজন এবং তিন দিনব্যাপী লোকজ ও সাংস্কৃতিক মেলার শুভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বাংলা নববর্ষের বরণ উৎসব চলছে ।
বৈশাখের দিনের প্রথম প্রহরে সকালে বাংলার নানান ঐতিহ্যের নানান উপকরণ এবং বিচিত্র সাজে জেলার রাজনৈতিক দলসহ সকল জাতি, গোষ্ঠি, ব্যক্তি ,পরিবার, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও, বিভিন্ন সংগঠন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী বর্ণিল সাজে অংশগ্রহণ করে।
চাঁদপুর
চাঁদপুর জেলার সকল সরাকির দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের লোকজনের অংশগ্রহণে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে বেলুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনসহ অন্যান্য অতিথিরা।
স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চাঁদপুর সরকারি কলেজে এসে শেষ হয়।
শোভযাত্রা উদ্বোধন পূর্বে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, পহেলা বৈশাখ শুধুমাত্র নববর্ষ নয়, এটি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। এই দিনে আমরা জাতিসত্ত্বা ও নিজেদের সংস্কৃতি ফুটিয়ে তুলবো। অসম্প্রদায়িক চেতনা বেশি কোন দেশ যদি ধারণ করে, সেটি বাংলাদেশ। কারণ এই উৎসবে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেরই অংশগ্রহণ রয়েছে। আর এটাই হচ্ছে আমাদের অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষণ।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকতের সঞ্চালনায় অতিথিদের বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, জেলা বিএনপি সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।
এছাড়াও নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের নানা কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য আয়োজন হচ্ছে-ডাকাতিয়া নদীর তীর সংলগ্নে ঘুড়ি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এর আগে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১২ এপ্রিল থেকে ৩০ পর্যন্ত চাঁদপুর উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বৈশাখী মেলা চলছে।
চুয়াডাঙ্গা
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের চাঁদমারি মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের কোর্টমোড় ঘুরে শহীদ হাসান চত্বর হয়ে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আনন্দ শোভাযাত্রায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, পুলিশ খন্দকার গোলাম মওলাসহ জাতি গোষ্ঠী, ব্যক্তি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা অংশ নেন। এতে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী নানা পটচিত্র, মোটিফ ও লোকজ সংস্কৃতির নানা উপকরণ শোভা পায়।
একইসাথে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিল্পকলা মুক্তমঞ্চে তিন দিনব্যাপী লোকজ ও সাংস্কৃতিক মেলার উদ্বোধন করা হয়।
এর আগে ৬টায় শহরের ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে মুকুল ফৌজের আয়োজনে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন এবং কবিতা আবৃতি শুরু হয়। এদিকে সকাল ১০টায় শহরের সাহিত্য পরিষদ চত্বর থেকে জেলা বিএনপির আয়োজনে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শরীফুজ্জামান।
পঞ্চগড়
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে পঞ্চগড়ে ১৪৩২ বর্ষবরণ ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালযের সামনে থেকে জেলা প্রশাসনের আযোজনে নববর্ষ ১৪৩২ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পঞ্চগড় সরকারী অডিটোরিয়ামে গিযে শেষ হয়।
এতে জেলা প্রশাসক মো: সাবেত আলী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/শিক্ষার্থী সরকারি বেসরকারি অনেকে অংশ নেন। শোাভাযাত্রা শেষে পঞ্চগড় সরকারী অডিটোরিযামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠান করা হয়।
পরে অডিটোরিয়াম চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা প্রদর্শন করা হয়।
মোংলা
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ এর পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে ও নববর্ষকে স্বাগত জানাতে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মোংলা উপজেলা ও পৌর শাখা। উচ্ছ্বাসে ভরা বর্ণিল এই শোভাযাত্রা ছিল উৎসবমুখর।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শুরু হওয়া বর্ণাঢ্য ও আনন্দঘন এ শোভাযাত্রাটি পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মোংলা পৌর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে তারা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতার আয়োজন করে।
শোভাযাত্রায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক স ম ফরিদ, সদস্য সচিব আ: মান্নান হাওলাদার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ রুস্তম আলী, পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব জুলফিকর আলী, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মানিক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো: খোরশেদ আলম সহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেয়।
রূপগঞ্জ
বর্ণিল আয়োজনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উদযাপন হচ্ছে। এই উপলক্ষে বেলা ১০ টারদিকে উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। শোভাযাত্রায় উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তর, রাজনীতিবিদ, সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয়।
পরে সরকারি মুড়াপাড়া কলেজ মাঠে লোকজ উৎসব শুরু হয়। উৎসবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নাচ, গান কবিতা আবৃত্তি নানান সংস্কৃতি তুলে ধরে।
টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলা শুভ নববর্ষ পহেলা বৈশাখ-১৪৩২ উদযাপন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ সোমবার সকাল ১০ টায় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ-এর নেতৃত্বে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় সকল অনুষদের ডিনবৃন্দ, গ্রন্থাগারিক, শিক্ষার্থীকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান এবং অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এছাড়া নববর্ষ উপলক্ষে মুক্তমঞ্চে মাভাবিপ্রবি সাহিত্য সংসদের নববর্ষ বই মেলা, রোটারেক্ট ক্লাব অব মাওলানা ভাসানীর খেলাধুলা ও খাবারের দোকান, ধ্রুবতারার আয়োজনে পান্তা-ইলিশ ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি ও মাভাবিপ্রবি ক্যারিয়ার ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন ।
গাইবান্ধা
নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ এই শ্লোগানে উৎসব মুখর পরিবেশ গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৪৩২ বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সোমবার সকালে স্থানীয় স্বাধীনতা প্রাঙ্গণে নববর্ষ উপলক্ষে ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে শান্তির বারতা নিয়ে একটি বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।এ আনন্দ শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জেম আহমেদ।
শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ। বাংলা বর্ষবরণে বাঙালির নানা আয়োজনের মধ্যে আনন্দ শোভাযাত্রা ছোট-বড় বেশ কিছু মোটিফ স্থান পেয়েছে।
এছাড়া আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেন পুলিশ সুপার নিশাদ এ্যাঞ্জেলা, জেলা বিএনপির সভাপতি ডা মইনুল হাসান সাদিক সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রী রাজনৈতিক ও সংস্কৃতি অঙ্গনের কর্মীরা।
রাঙ্গাবালী, পটুয়াখালী
নতুন সূর্যের আলোয়, নতুন দিনের আশা নিয়ে—পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা।
বাঙালি সাজে ঢাক-ঢোল আর বাঁশি নিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
কেউ সেজেছেন নববধূ, কেউ সেজেছেন জেলে, কেউ হয়েছেন কৃষক। এভাবেই নানা সাজে সুসজ্জিত হয়ে শোভাযাত্রায় যোগ দেন সর্বস্তরের মানুষ।
পরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে প্রদক্ষিণ করে উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক। শেষে পুনরায় উপজেলা পরিষদে গিয়ে এর সমাপ্তি ঘটে।
শোভাযাত্রায় অংশ নেন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা বয়সী মানুষ।
তাদের প্রত্যাশা—পুরোনো গ্লানি পেছনে ফেলে নতুন বছর নিয়ে আসুক নতুন সম্ভাবনা, নতুন প্রেরণা।
ঝালকাঠি
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছর ১৪৩২ বরণ করে নিয়েছে ঝালকাঠিবাসী । দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা, হাডুডু খেলাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন। সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরত্বপূর্ণ সড় প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় শিশুপর্কে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বৈশাখী মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান। এ সময় পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার রায়সহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও বর্ণারণ উৎযাপনে আনন্দ শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
কুমিল্লা
কুমিল্লায় নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে বৈশাখী শোভাযাত্রা, মেলা ও সাংস্কৃতিকসহ নানা আয়োজনে চলছে বর্ষবরন।
সকালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে একটি বর্ণাঢ্য বৈশাখী শোভাযাত্রা বের হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার,পুলিশ সুপার মোঃ নাজির আহমেদ খাঁন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, মহানগর বিএনপির আহবায়ক উৎবাতুল বারী আবু,জামায়াতের সেক্রেটারী মাহবুবুর রহমানসহ অন্যরা।
পরে র্যালি শেষে শিল্পকলা একাডেমীতে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে নগরের টাউন হলে জেলা ও মহানগর বিএনপির আয়োজনে তিনদিনব্যাপি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় টাউনহল মাঠ থেকে শোভাযাত্রা বের হয়। আয়োজন করা হয়েছে লোকজ সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
পহেলা বৈশাখ ঘিরে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা প্রেসক্লাব, সচেতন সাংস্কৃতিক ফোরাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, কুমিল্লা দক্ষিন জেলা ও মহানগর বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এদিকে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কুমিল্লা টাউন হল প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয়েছে তিনদিন ব্যাপী বৈশাখী মেলা। নগরীর রাজগঞ্জ এলাকায় চলছে দুদিন ব্যাপী মাছের মেলা।
সুনামগঞ্জ
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলা নব বর্ষ উদযাপন হয়েছে। সকাল ৯ টায় কালেক্টর ভবন প্রাঙ্গনে শতাধিক শিল্পি গানে গানে পহেলা বৈশাখকে বরণ করে নেন। এর পরপরই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক বর্ণিল আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নেতৃবৃন্দ অংগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রায় হাতি, ময়ূরের প্রতিকৃতিসহ দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন বাধ্যযন্ত্র স্থান পায়৷ এসময় বাসন্তী সাজে সজ্জিত হন বিভিন্ন বয়সের নারী, শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. জসীম উদ্দিন প্রমুখ।
মানিকগঞ্জ
বর্ণাঢ্য আয়োজনে মানিকগঞ্জে বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ- উদযাপন হচ্ছে। এই উপলক্ষে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তর, সামাজিক- সংস্কৃতিক সংগঠন লোকজ সংস্কৃতি নিয়ে অংশ নেয়।
পরে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লোকজ উৎসব শুরু হয়। উৎসবে শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নাচ, গান কবিতা আবৃতি নানান সংস্কৃতি তুলে ধরে।
কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামে নানা আয়োজনে বাংলা বর্ষবরন অনুষ্ঠিত ও আনন্দ শোভাযাত্রা, লোকজ মেলা, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে কুড়িগ্রামে বাংলা নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে।
এই উপলক্ষে নববর্ষের প্রথম প্রহরে সকাল ৯ টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “আই লাভ কুড়িগ্রাম ” চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য সম্মিলিত আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয় শহর প্রদক্ষিণস করে আই লাভ কুড়িগ্রাম চত্বরে শেষ
হয়।
আনন্দ শোভাযাত্রায় সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংস্কৃতিক সংগঠন অংশ নেয়।
এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নিজ নিজ উদ্যোগে পৃথক কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন করছে।
ফরিদপুর
সকালে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি আয়োজনের মাধ্যমে দিনভর বর্ষবরণ উৎসবের শুভ সূচনা হয়।
এছাড়া জেলা জুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো নানা আয়োজনে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেয়।
নীলফামারী
নীলফামারীতে বর্ণিল আয়োজনে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২। নববর্ষের ঐকাতন, ফ্যাসিবাদের অবসান এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পহেলা বৈশাখের সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানের নেতৃত্বে শিশু থেকে বৃদ্ধ সর্বস্তরের মানুষের অংশ গ্রহণে আনন্দ শোভাযাত্রাটি শহর প্রদক্ষিণ করে ডিসি গার্ডেনে গিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। সেখানে জাতীয় সংগীত ও এসো হে বৈশাখ সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর সেখানে আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকজ মেলা, জাদু প্রদশর্নী, রচনা, কুইজ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এ.এফ.এম তারিক হোসেন খান বক্তব্য রাখেন।
নওগাঁ
‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ স্লোগানে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে নওগাঁয় বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সকালে জেলা প্রশাসন আয়োজিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৮টায় শহরের এটিম মাঠ থেকে বের করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়ালের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে নব বর্ষের গান, নৃত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী সেখানে আয়োজন করা হয়েছে বর্ষবরণ মেলার।
শোভাযাত্রায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, ঘোড়া, পালকি, মাটির তৈরি বাসনসহ বিভিন্ন বর্ণের বেলুন ফেষ্টুন, মাথাল শোভাযাত্রাকে বর্ণিল করে তোলে।
এসময় পুলিশ সুপার সাফিউল সারোয়ারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের নওজোয়ান মাঠ থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় সেখানে গিয় শেষ হয়।
লক্ষ্মীপুর
বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখে রঙে রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুর। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জেলা জুড়ে পালন করা হচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। চারদিকে উচ্ছ্বাস, ঐতিহ্য আর আনন্দের রঙে রঞ্জিত শহর ও গ্রামাঞ্চল।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রঙ্গন থেকে বের হয়ে বর্ণাঢ্য এই র্যালিটি লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী আঞ্চলিক সড়ক হয়ে জেলা প্রশাসক কালেক্টরেট ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয় । র্যালিতে অংশ নেয় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক কর্মী, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। গ্রামীণ বাংলার নানা ঐতিহ্য যেমন—পটচিত্র, পালকি, মুখোশ, ঢাক-ঢোল আর রঙ-বেরঙের সাজসজ্জায় ফুটে ওঠে বাঙালিয়ানার সৌন্দর্য।
মুক্তমঞ্চে নববর্ষকে ঘিরে আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। গান, নৃত্য, কবিতা, নাটক ও আলোচনা সভার মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনব্যাপী আয়োজন করে লোকজ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। শহরের নানা স্থানে বসে পান্তা ইলিশের উৎসব, গ্রামীণ খেলা, হস্তশিল্পের স্টল আর মেলার আমেজে প্রাণ পায় বৈশাখী দিনটিতে । দিনব্যাপী আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠে লক্ষ্মীপুরবাসী, বরণ করে নেয় নতুন বছর ১৪৩২।
বগুড়া
বগুড়া ফ্যাসিবাদ মুক্ত আবহে, মুক্ত বাতাসে বগুড়ায় বর্ণিল আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে পহেলা বৈশাখ। আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রত্যয় নিয়ে বর্ণাঢ্য শুভযাত্রা, বর্ষবরনের গানসহ নানা আয়োজনে শুরু হয়েছে বাংলা নতুন বছরকে বরণ।
নববর্ষ ঘিরে জেলা প্রসাশকের কার্যালয় চত্বর থেকে বৈশাখ বরণে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা, পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা,জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। শোভাযাত্রায় হাতি, ঘোড়া, বাঘ,দোয়েল,মোরগ, কবুতর, শাপলা , পালকি,ঘুড়ি,একতারা, ঢাক, ঢোল, লাঙ্গল, কাস্তে, ঘোড়ার গাড়ি সহ গ্রাম বাংলার কৃষি কাজে ব্যবহারিক সামগ্রী নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন হাজারো মানুষ।
ভোলা
ভোলায় শোভাযাত্রা ও প্রভাতী সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় গ্ৰাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হারিয়ে যাওয়া কৃষ্টি সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এতে জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান, পুলিশ সুপার মোঃ শরিফুল খান সহবিভিন্ন দপ্তরেরর কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র- ছাত্রী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশ নেন।
পরে ভোলা জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা নাচ, গান ও কবিতায় মাতিয়ে তোলে দর্শক শ্রোতাদের।
এছাড়াও শিল্পকলা একাডেমি, সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া জেলা বিএনপি, দিন বদলের মঞ্চ সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বর্ণিল আয়োজনে ১লা বৈশাখী পালন করছেন। শহরের নানা প্রান্তে পান্তা ইলিশ পরিবেশন তো রয়েছেই।
মুন্সীগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জে নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়েছে। সোমবার সকালে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনে জেলার হাজারো মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে এই শোভাযাত্রা শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে শিল্পকলা একাডেমী সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে শোভাযাত্রাটি শেষ হয়। পরে শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গণে লোকজ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। মেলায় গ্রামীণ ঐতিহ্য তুলে ধরে ১৪ টি স্টল বসেছে।
শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক ফাতেমাতুল জান্নাত,পুলিশ সুপার মো.শামসুল আলম সরকার,জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ গ্রহন করেন। এবারের শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহের মিল রেখে বিভিন্ন প্রতীকী উপস্থাপন করা হয়। বাজে ঢোল বাদ্য। এ উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জে নানা আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন বর্ণাঢ্য কর্মসূচির আয়োজন করে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কিশোরগঞ্জ পুরাতন স্টেডিয়াম থেকে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় অংশ নেন জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা, গরুর গাড়িতে নববধূর বাপের বাড়ি যাত্রা, ধানকাটা কৃষকের প্রতিকৃতি সবই ছিল আলাদা আকর্ষণ।
এর আগে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান পুরাতন স্টেডিয়ামে ১০ দিনব্যাপী বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় ৫০টি স্টল স্থান পেয়েছে।
নাটোর
নাটোরে বিএনপির পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার ১১ টার দিকে আলাইপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা বিএনপির আয়োজনে আয়োজনে এক বর্ণাঢ্যে শোভাযাত্রার বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে নাটোর প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, জেলা বিএনপির আহবায়ক রহিম নেওয়াজ,সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ,যুগ্ন আহবায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরি,সাইফুল ইসলাম আফতাব, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ফেনী
বাংলা নতুন বছর বরণ করার জন্য সকাল ৯ টায় ফেনীর ট্রাঙ্ক রোডে শোভাযাত্রা বের করে বিএনপি ও তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। আগত নেতা কর্মীদের মাঝে এ সময় পান্তা ভাত, রুই মাছ ও ভর্তা বিতরণ করা হয়।
Leave a Reply